র্যাব মনোগ্রাম এর বিভিন্ন প্রতীকের তাৎপর্য
১। জাতীয় ফুল (শাপলা) র্যাবের মনোগ্রামের শীর্ষভাগে অবস্থিত জাতীয় ফুল শাপলা। শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল এবং বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক।
২। মনোগ্রামের সবুজ রংয়ের জমিনে লাল সূর্য। অনন্ত সবুজের দেশ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সাথে মিল রেখে র্যাবের মনোগ্রামের সবুজ ও লাল রংয়ের জমিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এলিট ফোর্স র্যাব এর প্রতিটি সদস্যের হৃদয়ে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকার গৌরব সমুন্নত রাখার বজ্র কঠিন প্রতিজ্ঞা।
৩। জাতীয় স্মৃতিসৌধ। মনোগ্রামের কেন্দ্রে অবস্থিত স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য শহীদের আত্মত্যাগের প্রতীক। জাতীয় স্মৃতিসৌধ শহীদের লালিত স্বপ্নের সুখী বাংলাদেশ গড়ার অংগীকার র্যাব সদস্যদের স্মরণ করিয়ে দেয়।
৪। ধানের শীষ । র্যাবের মনোগ্রামের স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতির দুইপার্শ্বের ধানের শীষ কৃষি প্রধান বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি এবং সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতীক।
৫। অগ্রগতির চাকা। র্যাবের মনোগ্রামের স্মৃতি উৎকীর্ণ স্মৃতিসৌধ এর নিচে অবস্থিত ধাতব চাকা সময়ের সাথে দ্রুত উন্নয়নশীল বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রতীক । যে কোন মূল্যে সন্ত্রাস নির্মূল করে হৃদয়ের দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতির চাকা অব্যাহত রাখতে র্যাব প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
৬। র্যাবের মূলমন্ত্র। মনোগ্রামের সর্বনিম্নে উৎকীর্ণ বাংলাদেশ আমার অহংকার র্যাবের মূলমন্ত্র। এ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত র্যাবের প্রতিটি সদস্য সন্ত্রাসমুক্ত সুখী এবং সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য সর্বদা বজ্র কঠিন সংকল্পবদ্ধ।
লক্ষ্য
যে চেতনা আমাদের শক্তিযোগায়
উদ্দেশ্য
সন্ত্রাস দমন ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা।
বাংলাদেশ আমার অহংকার।
বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের উন্নতির পথে যে সকল বাধা বিপত্তি রয়েছে তার মধ্যে,অস্থিতিশীল আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অন্যতম। এরকম একটি পরিস্থিতিতে যখন সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ অনিশ্চিয়তার মাঝে ভুগছিল, তখন পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার একটি এলিট ফোর্স গঠনের পরিকল্পনা করে। ক্রমান্বয়ে সভা-সমন্বয়, আলোচনা ও গবেষনার পর সরকার, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সংক্ষেপে র্যাব ফোর্সেস নামে একটি এলিট ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। গত ২৬ মার্চ ২০০৪ তারিখে জাতীয় স্বাধীনতা দিবস প্যারেডে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জনসাধারনের সামনে আত্মপ্রকাশ করে। জন্মের পরপরই এই ফোর্সের ব্যাটালিয়নসমূহ সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ব্যাস্ত থাকে এবং স্ব স্ব এলাকা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এর মাঝে প্রথম অপারেশনাল দায়িত্ব পায় ১৪ এপ্রিল ২০০৪ তারিখে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান-রমনা বটমুলে নিরাপত্তা বিধান করার জন্য । এর পর আবার র্যাব মূলত তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিল। গত ২১ জুন ২০০৪ সাল থেকে র্যাব ফোর্সেস পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে।***জমি জমা বা টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ র্যাব কর্তৃক গ্রহণ করা হয় না ।
র্যাব কর্তৃক প্রদত্ত পরামর্শ
***ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কোন সমস্যা র্যাব কর্তৃক গ্রহণ করা হয় না ।
***কোন অভিযোগ করার পূর্বে আপনার এলাকার জন্য দায়িত্বপূর্ন র্যাব ব্যাটালিয়ন/ক্যাম্প সম্পর্কে জানুন ও যথাযথ র্যাব ব্যাটালিয়ন/ক্যাম্পে অভিযোগ করুন ।
***আপনার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে র্যাব কে তথ্য প্রদান করে র্যাবকে সহযোগীতা করুন । আপনার পরিচয় সম্পুর্ন্ন গোপন রাখা হবে । ***বেশী করে গাছ লাগান অক্সিজেনের অভাব তাড়ান
***ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের আগুন নিয়ে খেলতে দিবেন না ।
***যাত্রা পথে অপরিচিত লোকের দেওয়া বিছু খাবেন না । ভ্রমণকালে সহযোগী বা অন্য কাহারো নিকট হইতে পান, বিড়ি, সিগারেট, চা বা অন্য কোন পানীয় খাওয়া/গ্রহন করা হইতে বিরত থাকা আবশ্যক ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS